বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘যখনই কোনো বিদেশী প্রতিনিধি দল এদেশে আসে তারা ভদ্র ভাষায় বলে যান যে, তারা একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন দেখতে চায়। একই সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোতে গণতান্ত্রিক স্পেস দেয়া এবং তাদের সাংবিধানিক অধিকারগুলো করতে দেয়ার ওপরও গুরুত্বরোপ করে যান। তাই সরকারকে বলবো- তাদের কথাগুলো মেনে চলেন। সঠিক পথে আসুন। গণতন্ত্রের পাথে আসুন। এখনো সময় আছে। সবাইকে নিয়ে গণতন্ত্রের পথে চলতে কাজ করুন।’ রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ দলটির নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম’ আয়োজিত ওই সভায় অংশ নিয়ে আমীর খসরু বলেন, খালেদা জিয়াকে দুর্নীতি মামলায় কারান্তরীণ করার বিষয়টি কোনো বিচারিক কার্যক্রম নয় ,পুরো মামলাটিই একটি রাজনৈতিক বিষয়। তাকে কারাগারে নেয়াও হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। সরকার জনগণ থেকে এতোটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যে, তারা বুঝতে পারছে না যে, মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করছে না।
তিনি বলেন, সরকার যতই বলুক এটা আদালতের বিষয়, কিন্তু খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার সঙ্গে মানুষের বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, নাগরিক নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক অধিকার-এগুলো সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত। খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে সরকার এগুলো সঙ্কুচিত করতে চায়।
আমীর খসরু মাহমুদ অভিযোগ করেন, সরকার আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক স্পেসগুলোকে এমন জায়গায় নিয়ে যাবে যাতে বিএনপির আর নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগ্রহ না থাকে। একই সঙ্গে মানুষকে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে।
সভায় সংগঠনের উপদেষ্টা নাসির উদ্দিন হাজারীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম. জাহাঙ্গীর আলম।