নাইক্ষংছড়ি তামব্রু সীমান্তে নিজেদের অংশের প্রায় দেড়শ’ গজের মধ্যে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, ভারী অস্ত্র, গোলা বারুদ নিয়ে মিয়ানমার অবস্থান নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে বিজিবি শক্ত ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক। এদিকে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিজিবির সদর দফতর পিলখানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক।
তিনি বলেন, তমব্রু সীমান্তের জিরো লাইন এলাকায় বেশ কিছু রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। এলাকাটি মিয়ানমার অংশে। কিছুদিন ধরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনী তমব্রু সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া, সেগুলো আরো মজবুত করা, উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন সার্ভেলেন্স ইকুয়েপমেন্ট স্থাপন করার কাজ করছে। এর মধ্যে শব্দযন্ত্রের মাধ্যমে সেখানকার রোহিঙ্গাদের অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য তারা বারবার বলছে, যা গত একমাস ধরে চলছে।
তিনি আরো বলেন, তমব্রু সীমান্তে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পোস্টের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমার অংশের প্রায় ১৫০ গজ অভ্যন্তরে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। বেশ কিছু মিলিটারি প্যাটার্নের পিকআপের ট্রাক-লরির মাধ্যমে তারা সেখানে ভারী অস্ত্র স্থাপন করেছে। আমরা সার্ভেলেন্স ও ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমে এসব তথ্য জানতে পেরেছি। এরপর থেকে বিজিবিও সতর্ক অবস্থানে আছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ইতোমধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের আহ্বান জানিয়েছি। এখনও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আশা করি, দ্রুততম সময়ে এর সমাধান হবে। আমরা প্রতিবাদলিপিও পাঠিয়েছি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ পতাকা বৈঠকে সাড়া না দিলে বিজিবি কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এমন প্রশ্নে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক বলেন, বর্ডার এলাকায় ভারী অস্ত্র মোতায়েন, সৈন্য সমাবেশ করা বর্ডার নর্মসের বাইরে। আমরা এটা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সতর্ক অবস্থানে আছি। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত।