আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের ঘোষণার মাধ্যমেই সন্দেহ হয় তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে কি-না? বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ, একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সমঝোতা হতে পারে না।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য বিএনপি-জামায়াতের অশুভ তৎপরতা শুরু হয়েছে। তারা (বিএনপি-জামায়াত) এই অশুভ তৎপরতার অংশ হিসেবেই অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের ওপর ’জঙ্গিদের’ দিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪-দলের এক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাসিম এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত করতেই বিএনপি-জামাতের অশুভ তৎপরতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৪ সালের মতো তারা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।
’
সভায় অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং সম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ১৪-দলের উদ্যোগে আগামী ২০ মার্চ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত এবং আগামী ৩০ মার্চ রংপুরে এবং পর্যায়ক্রমে সিলেট ও যশোরে অনুরূপ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
এসব কর্মসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান নাসিম।
অধ্যাপক ড. জাফর ইতবালের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপসহ কেন্দ্রীয় ১৪-দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।