জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য অপেক্ষা বেড়েই চলেছে। বিশেষ আদালতের দেয়া দেওয়া কারাদণ্ড দণ্ডিত হয়ে জেলে যাওয়ার ৩২ দিন পর হাইকোর্টে জামিন পেলেও দুদকের আবেদনে তা স্থগিত হয় পরেরদিন।
রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হওয়ার পর সোমবার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ।
এর আগে সকালে জামিন স্থগিত চেয়ে করা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। এসময় দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিএনপি নেত্রীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও খন্দকার মাহবুব হোসেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ই ফেব্রুয়ারি এই মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত।
পরে ১২ই মার্চ আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার বয়স, সামাজিক অবস্থাসহ চার কারণে তাকে চার মাসের অন্তর্বতীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট।
পরের দিন জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত আবেদন দুটি পরের দিন শুনানির জন্য রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ১৮ই মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। ওই সময়ের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।