২১ দফা দাবিতে শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।আগামীকাল দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার পার্টির এক সভা থেকে শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ সফল করতে আহবান জানিয়েছেন দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবক টিমের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরো সদস্য ড. সুশান্ত দাশ, মাহমুদুল হাসান মানিক, যুব মৈত্রীর সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্স, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তপন, ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সুশৃংখল একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত করবার জন্য সকলকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং স্বেচ্ছাসেবকরা এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ২১ দফা দাবি হলো –
০১. খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণ।
০২. কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা।
০৩. কৃষক,খেতমজুর ও কৃষি সংস্কার ভূমিনীতি তৈরী করা।
০৪. শিল্প,শ্রমিক-কর্মচারি ও মালিকানা সংকট সমাধান করা।
০৫. বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।
০৬. সড়ক, রেল, বিমান, নৌ পরিবহনসহ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
০৭.সুষম উন্নয়নে নগরায়ন ও গ্রাম উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, পয়ঃপ্রণালীর উন্নয়ন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।
০৮.আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ।
০৯.মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে শিল্প,সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জাতিসত্ত্বার বিকাশ নিশ্চিত করণ।
১০. শিক্ষা, সংস্কৃতি, মানব সম্পদের উন্নয়ন ও সার্বিক ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা।
১১. বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আইসিটি খাত কে দেশ ও জাতির সর্বিক সমৃদ্ধি তে প্রয়োগ।
১২. স্বাস্থ্য- চিকিৎসা নীতি পরিবার কল্যাণ ও প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা।
১৩. স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী ব্যবস্থা ও সত্যিকারার্থে জনগনের সংসদ, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা, ৭২ এর সংবিধানে ঘোষিত ৪ মূলনীতি সমুন্নত রাখা।
১৪. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত কর
১৫.মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ ও অব্যাহত রাখা।
১৬.নারী অধিকার, ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা।
১৭.দুর্নীতি- দুর্বৃত্তায়ন – সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও উন্নত আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।
১৮.জলবায়ু পরিবর্তন: নদী, পানি সম্পদ ও পানি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ,বনাঞ্চল,হাওড়,বাওড় বিল সংরক্ষণ।
১৯. জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি দেশের নিরাপত্তায় সুনিয়ন্ত্রিত এবং উন্নততর করণের সকল উদ্যোগ গ্রহন।
২০.জাতীয় গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন।
২১. জাতীয় অর্থনীতি স্বার্থ ও সমুদ্র ব্যবস্থাপনা।