আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কোটা পদ্ধতি থাকলে বারবার তা সংস্কারের দাবি উঠবে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে, তাই কোটা পদ্ধতি তুলে দিতে বলেছি।
বুধবার বিকালে সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি আমরা, সেখানে ফেইসবুক,টুইটার,ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হমলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ৭১ এর হানাদার বাহিনীর সাথে তুলনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন। “এ হামলা পরিকল্পিত, একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যেভাবে হামলা ও লুট করা হয়েছিলো ঠিক একইভাবে ভিসির বাসভবনেও হামলা করা হয়েছে। লুটের মাল কোথায় কার কাছে আছে তা আন্দোলনরত ছাত্রদেরই খুজে বের করতে হবে”
প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমালোচনা করে বলেন ‘আমার দুঃখ হয় ঢাবি, শাহজালাল সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও তাদের সাথে সূর মিলিয়েছে’।
“আন্দোলনকারীরা আমাদের ছেলে-মেয়ে, অনেকে নাতি-নাতনির বয়সী। এই চৈত্রের রোদে রাস্তায় বসে থাকলে তার অসুস্থ হয়ে পড়বে” উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন কেবিনেট সেক্রেটারি পরীক্ষা করে দেখবেন কিভাবে সংস্কার করা যায়, তবে আমি মনে করি কোটা বাতিল করাই ভালো। কারণ আজ সংস্কার করলে দুদিন পর আবারও সংস্কারের জন্য আন্দোলন হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন আমিই নারীর ক্ষমতায়নে বেশি কাজ করেছি। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য কোটা রাখা হয়েছিলো কিন্তু সেতুমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় বসা নারী প্রতিনিধিরা বলেছেন তারা এ কোটা চান না। এসময় হল থেকে বেরিয়ে এসে ছাত্রীদের আন্দোলনে যোগ দেয়ারও সমালোচনা করেন।
ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদাভাবে চাকুরির ব্যবস্থা করারও ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী
তবে চারদিন ধরে রাজপথে থাকা শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
আর আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় কমিটি প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য বিশ্লেষণ করে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার ) সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা বলেছেন।