কুবি প্রতিনিধি:
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবিতে শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগরীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টা করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় কুমিল্লা মহানগর শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলা, আটক ও মারধরের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা। রবিবার সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধনে অংশ নিতে নগরীরর কান্দিরপাড়ে জড়ো হয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, নগরীর কান্দিরপাড় থেকে কুমিল্লা জেলার সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম হানিফকে কয়েকজন অজ্ঞাত যুবক আটক করে নিয়ে যায় এবং প্রায় ৫ ঘণ্টা আটকে রাখার পর তাকে নগরীর মর্ডান স্কুলের সামনে ছেড়ে দেয়। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচের সাদ্দাম হোসাইন ও ইংরেজী ৭ম ব্যাচের নূরুল হক সহ আরো কয়েকজনকে থাপ্পড় ও হুমকি ধমকি দেয় মহানগর শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। কান্দিরপাড়ে আন্দোলনরতদের মানববন্ধন করতে বাধা প্রদান দেয়ায় তারা কোটবাড়ি বিশ্বরোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। সেখানেও তাদেরকে কয়েকজন যুবক মানববন্ধন না করতে বাধা ও হুমকি ধমকি দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ঐ যুবকদের সরিয়ে নিয়ে যায়।
প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচিও পালন করে শিক্ষার্থীরা।পরবর্তীতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে কোটবাড়ী বিশ্বরোডের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া ও কুমিল্লা সরকারী কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী বিকাল ৫টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে সোমবার (১৪ মে) থেকে দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্নিদিষ্টকালের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়ে মানববন্ধন শেষ করে আন্দোলনকারীরা।