বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শেষ হলো খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। দিনশেষে চলছে ভোটগণনা। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে। তবে তিনটি কেন্দ্রে ভোট অনিয়মের কারণে স্থগিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী। সিটিতে ভোটার সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ।
এছাড়া আরও অন্তত সাতটি কেন্দ্রের-ভেতরে বাইরে গোলযোগ, অনিয়ম, এজেন্টদের বাধা ও নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিএনপি অভিযোগ করেছে, অর্ধেক ভোটকেন্দ্রেই নানা ধরনের অনিয়ম ঘটেছে, কেন্দ্রে ঢুকে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর মার্কা নৌকায় সিল মেরে ব্যালট দিয়ে বাক্স ভরা হয়েছে, ধানের শীষের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে, সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি মারধরও করা হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগ বলেছে, পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জেনে ‘শান্তিপূর্ণ ও অবাধ’ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ‘মিথ্যা অভিযোগ’ করছে।
ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, “দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবেই ভোট হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে, সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।”
চার ঘণ্টার ভোট শেষে বেলা ১২টা পর্যন্ত মোটামুটি ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে ধারণা দিয়েছিলেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজমুল কবীর। তবে শেষ পর্যন্ত কত শতাংশ ভোট পড়ল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য এখনও নির্বাচন কমিশন জানায়নি।