তৌহিদুর রহমান চৌধুরী :
২০ বছরের আফগান তরুণ রাশিদ খান। ঘূর্ণি যাদুর মাধ্যমে ইতোমধ্যে মন কেড়েছে ক্রিকেট বিশ্বকে। এশিয়া কাপে আফগানদের প্রতিটি জয়ে রাশিদ খানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে তার আচরণ নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।
সাধারণত ছোট দলের মধ্যে বড় সাফল্য নিয়ে দ্রুত সবার নজর কাড়া সহজ তবে সুনজর ধরে রাখা খুব একটা সহজ নয়…. রাতারাতি স্টার হয়ে যাওয়া খেলোয়াড়দের বিভিন্ন আচরণ নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন উঠে। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান বা ভারতের বিরাট কোহলির বিভিন্ন কার্যক্রমে অনেক সময়ই হতাশ হয়েছেন তাদের অনুগামীরা।
রোববারের আবুধাবির মাঠটা রাশিদ খানের জন্য খুব একটা ভালো ছিলো না। বল হাতে যেমন ছিলেন খরুচে ব্যাট হাতেও দলকে জেতানোর মতো কিছুই করতে পারেন নি। আর তাতেই মেজাজ চটেছে কুড়ির এই তরুণের। নিজের কোটার শেষ বল নিজে কুড়িয়েই অনার্থক নিজ দলের উইকেটরক্ষকের দিকেই ছুড়ে দেন। যা ক্রিকেটে অগ্রহণযোগ্য। কমেন্ট বক্সে থাকা ব্রেটলি ও কুমার সাঙ্গাকারা অবশ্য তাকে ইমোশনাল বলে আখ্যা দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন শারীরিক অঙ্গভঙ্গি নিয়েও দর্শকদের ক্ষোভ লুকানোর মতো নয়। তবে ধারাবাহিক জয়ের পর, পরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কাছে দুই পরাজয় হৃদয়ে রক্ত ঝরিয়েছে আফগানদের।
বাংলাদেশের জন্য অবশ্য রোববার ছিলো সৌভাগ্যের। একাধিক ম্যাচে শেষ ওভারে হেরে দর্শকদের আহত করার রেকর্ড কম নেই। তবে এবার আর হতাশ করেননি মাশরাফিরা। শেষ ওভারে ৩ রানের নাটকীয় জয় এনে দিয়েছেন মুস্তাফিজ। যদিও খাদে পড়া বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্জয় ঠেকিয়েছেন নিরব ঘাতক খ্যাত মাহমুদুল্লাহ এবং আগেরদিন বাংলাদেশ থেকে উড়ে যাওয়া ইমরুল কায়েস।