তুরস্ক সংবাদদাতাঃ গত ২৭ ই অক্টোবর শহরের ক্যান্ট পার্কে তুরস্কের সাকারিয়া শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের এক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। নতুন বছরে আগত ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ করে নেয়া উপলক্ষে “বাংলাদেশী কমিউনিটি অফ সাকারিয়া” এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
দুই দিন ব্যাপি এই অনুষ্ঠানের প্রথম দিন মিলন মেলায় উপস্থিত ছিলেন সাকারিয়া ইউনিভারসিটির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পি এইচ ডি গবেষক শুয়াইব আক্তার, তার সহধর্মিণী সাকিয়া আক্তার রিমা এবং তাদের একমাত্র মেয়ে আয়েশা আক্তার ইনায়া, ইতিহাস বিভাগের পি এইচ ডি গবেষক ইতিহাসবিদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের পি এইচ ডি গবেষক বাদিউল আলাম, ক্যামিস্ট্রি বিভাগের পি এইচ ডি গবেষক ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাহিদ এবং বোরহান উদ্দিন। নতুনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইরফানা সাদাত, মোঃ রুহুল্লাহ, লুতফুন নাহার, নুরুল আলম, জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর উপস্থাপনায় উপস্থিতিদের উদ্দেশ্যে শোয়াইব আক্তার বলেন, সকল প্রকার মতভেদ কে একপাশে রেখে আমাদের উচিৎ সর্বদা একত্রে থাকার চেষ্টা করা। একটা পরিবারের মতো যেকোন সমস্যায় একে অপরের পাশে থেকে আমরা একটা সুন্দর কমিনিউটি গড়ে তুলতে পারি। আমাদের এই ছোট কমিনিউটিতে আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ। আপনাদের যে কোন সুখ দুঃখে আমাকে পাশে পাবেন, ইনশাআল্লাহ্। বাদিউল আলম বলেন, আমরা সবায় পরিবার ছেড়ে এখানে এসেছি; এখন আমরা এখানে যারা আছি সবায় একটা পরিবারের মতো। আশা করবো সকলেই যেন একে অপরের সুখ দুঃখের ভাগী হয়ে একটি সুন্দর পরিবার গঠন করতে পারি। মোঃ জাহিদ নতুনদের উদ্দ্যেশে একাডেমিক বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন। এরপর অভিজাত্য এক রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার গ্রহণের মাধ্যমে প্রথমদিনের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ছিলো শুয়াইব এবং সাকিয়া আক্তার এর বাড়িতে স্পেশাল বাঙালি খাবারের দাওয়াত এবং ক্রিকেট ম্যাচ। সাকিয়া ভাবীর রান্নায় অসাধারণ বিরিয়ানি খেয়ে নিজের বাড়ির স্পেশাল দিনের খাবারের কথা মনে পড়ে যায় সবায়। খাবারের শেষে ছিলো স্পেশাল পায়েশ এবং তুর্কির লাল চা খেতে খেতে ভুলতে বসা দুধ-চা।
মিলন মেলাটাকে পরিপূর্ণ করে তুলতে খাবার পর্ব শেষে পিএইচডি এবং নন-পিএইচডি (মুলতঃ বিবাহিত এবং অবিবাহিত) এই দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অনুষ্ঠিত হয় ক্রিকেট ম্যাচ। উল্যেখঃ তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ এর শেষ বলে বাউন্ডারী মেরে অবিবাহিত দলের জয় নিশ্চিত হয়। এভাবেই সংখ্যা গরিষ্ঠ হওয়ার সত্ত্বেও অবিবাহিতদের কাছে পর পর দুই ম্যাচে পরাজিত হয় বিবাহিত গ্রুপের সদস্যারা।
এভাবেই আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে অসাধারণ দুটি দিন এর সমাপ্ত হয়। এবং এরকম প্রোগ্রাম নিয়মিত আয়োজনের ব্যাপারে সকলেই ঐক্যমত পোষন করেন।