Home » প্রচ্ছদ » রাত জেগে কাজ করলে কী খাওয়া উচিৎ ?

রাত জেগে কাজ করলে কী খাওয়া উচিৎ ?

অনেকেই রাত জেগে কাজ করেন। অনেক কর্মীকে অফিসে রাতের পালায় কাজ করতে হয়। তবে শরীরের জন্য সহায়ক হলো দিনে কাজ আর রাতে ঘুম। তাই রাতের কাজ শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত করে। এতে ওজন বেড়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়। এ জন্য যাঁরা রাত জেগে কাজ করেন, ঘুম ও খাবারের দিক দিয়ে তাঁদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।

এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যাঁরা রাত জেগে কাজ করেন, তাঁদের জন্য আয়ুর্বেদশাস্ত্রে স্বাস্থ্যকর কিছু পরামর্শ রয়েছে।

ফাইবার ও প্রোটিন: সাধারণত দিন শুরু হয় নাশতা দিয়ে। কিন্তু যাঁরা রাতের পালায় কাজ করেন, তাঁদের দিন শুরু হয় রাতের খাবার দিয়ে। যাঁদের দিন সন্ধ্যা সাতটা বা এর পর শুরু হবে, তবে রাতের খাবার সাড়ে সাতটা বা আটটার মধ্যে সেরে নিতে পারে। যাঁরা বিকেল চারটা বা পাঁচটায় দিন শুরু করেন এবং রাত একটা বা দুইটা পর্যন্ত কাজ করেন, তাঁদেরও রাত আটটার মধ্যে খাবার খেয়ে ফেলা উচিত। খাবারের পর অনেকের ঘুম আসে। এ জন্য রাতের খাবার যতটা সম্ভব হালকা খাওয়া ভালো। খাবারে বাদামি চালের ভাত ও সবজি, ডাল ও মুরগি রাখা যেতে পারে। রাতের খাবারে যেন যথেষ্ট প্রোটিন ও ফাইবার থাকে, তা খেয়াল রাখতে হবে। প্রোটিন খেলে পেট ভরা থাকবে এবং ঘুমের ভাব আসবে না।

ঘি: আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়েছে, রাত জাগলে শরীরে শুষ্ক ভাব দেখা দেয়। কাজে যাওয়ার আগে এক চামচ ঘি খেতে পারেন। এতে শরীরের শুষ্ক ভাব আসবে না এবং শরীরে ভারসাম্য ঠিক থাকবে। তবে কোলেস্টেরলের বিষয়টি যাঁদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

তেলজাতীয় খাবারে না: রাতে তেলযুক্ত ভাজাপোড়া কোনো খাবার খেলে হজমে সমস্যা হবে এবং ওজন বাড়বে। রাত জাগলে অস্বাস্থ্যকর খাবারে অম্লতা ও গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বাদাম খান: রাত জাগলে ক্ষুধা লাগতে পারে। যখন ক্ষুধা লাগবে, তখন হালকা নাশতা হিসেবে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন। এ সময় আখরোট বা বাদাম খেতে পারেন। এতে ওজন বাড়বে না।

ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকুন: অনেকেই রাতে কাজ করার সময় বেশি কফি খান। বেশি মাত্রায় কফি শরীরের জন্য ভালো নয়। যদি বেশি ঘুম আসে এবং কাজের জড়তা লাগে, তবে শরীর আর্দ্র রাখতে হবে। প্রতি আধা ঘণ্টা অন্তর পানি বা ফলের জুস খেতে পারেন।

সতেজ ফল ও সবজি: যাঁরা রাতে কাজ করেন, তাঁদের প্রচুর সতেজ ফল ও সবজি খেতে হবে। খাদ্যতালিকায় মৌসুমি ফল ও ফলের জুস রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সালাদ, শুকনো বাদাম, হোলগ্রেইন ব্রেড, সবজি ও ডিমসেদ্ধ সালাদ দারুণ উপকারী।

About Bangla Tidings

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ভারত

এশিয়া কাপের ১৬তম আসরে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুললো ভারত। এর মাধ্যম আটবার ...

জাতিসংঘের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

চৌধুরী তুহি, ঢাকা: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ...

মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া

ঢাকা ২৫ মার্চ দুই বছরেরও বেশি সময় কারাভোগের পর অবশেষে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ...

করোনা ভাইরাস: ভারতে ”জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন” জারি

  করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এই প্রথম গোটা ভারতজুড়ে জারি হল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন। এর ...