নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে সমর্থন জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। অন্যদিকে বিএনপি জানিয়েছে ক্ষোভ। আর বিকল্প ধারা ভোটের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ তফসিলের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, “আজকে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছিল দু-একটি রাজনৈতিক দল, সেই ধোঁয়াশা কেটে গেল।
“আমরা আশা করি, সেই তফসিল অনুযায়ী উৎসবমুখর পরিবেশে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক বিবৃতিতে বলেন, “তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ-সংশয়ের অবসান হল এবং দেশ সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রেখে বলিষ্ঠ পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখল।”
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, তার কোনো প্রতিফলন না ঘটিয়েই নির্বাচন কমিশন একতরফাভাবে আবারো একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে এবং এতে সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটছে।
“এই তফসিল ঘোষণার ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য একেবারে পরিষ্কার, জনগণের আশার পরিপন্থি কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান এদেশের জনগণ গ্রহণ করব না।”
সিইসির বক্তব্যে আশাহত হয়েছেন জানিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বৃহত্তম শরিক সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “সংলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করার আগেই তিনি তফসিল ঘোষণা করলেন।
“এই তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে এত দিন ধরে যে সংলাপ হয়েছে, এই সংলাপকে তিনি অকার্যকর করে দিলেন। এটা আমাদের দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতি সাধিত করল।”
ভোটের দিনসহ অন্যান্য তারিখ পেছানোর আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে বিকল্প ধারা সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, “সার্বিক বিবেচনায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় অত্যন্ত কম মনে হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ, যাচাই-বাছাই, সাক্ষাৎকার গ্রহণ ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ কঠিন হবে।”