বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ৫৬টি জেলায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের আগে দেওয়া বক্তব্যে শেষ হাসিনা বলেন, ‘আবার ক্ষমতায় আসার জন্য আমরা ভোট চাইবো। আগামী দিনে এসে যেন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ আমরা শেষ করতে পারি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করছি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল নিপীড়িত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। এই লক্ষ্যেই তিনি দেশকে স্বাধীন করার লড়াই করেছেন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমি সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি। মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করা যায় তা ভেবেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার চেতনা কীভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া যায় তা ভেবেছি। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমান এই প্রজন্মের জীবনটা যেন সুন্দর হয়, বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেন তারা টিকতে পারে, যেখানেই যাবে মাথা উঁচু করে চলবে সেটাই আমরা চাই।’
তিনি বলেন, ‘৯৬ থেকে ২০০১ ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, নিরক্ষতা দূরীকরণ, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নসহ মৌলিক চাহিদাগুলো বাস্তবায়নের কাজ শুরু করি। তবে এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০১ থেকে ২০০৫ ছিল অন্ধকার যুগ। এসময় নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে। আমাদের জাতীয় সম্পদগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। ২০০৮ সালে আমরা আবার ক্ষমতায় ফিরি। এই অবস্থা মোকাবিলা করে, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করে আমরা দেশের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করেছি।’
উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে দেশে বেকার সমস্যা সমাধান হবে, মানুষ আরও সেবা পাবে, দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।