শেষ বলে নাটকীয় জয় নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-০ তে এগিয়ে থাকলো পাকিস্তান।
বুধবার আবু ধাবিতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ২ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৮ রান করে। ১৪৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কলিন মানরোর সৌজন্যে নিউ জিল্যান্ড শুরুটা দুর্দান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত ১৪৬ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস।
তরুণদের নিয়ে গড়া পাকিস্তান টিম সব বিভাগে দুর্দান্ত নৈপূর্ণ প্রদর্শন করেই এই জয় ছিনিয়ে নেয়। এর দুদিন আগে পাকিস্তান ৩-০ ম্যাচে হোয়াইট ওয়াশ করেছিল অস্ট্রেলিয়াকে। এখন নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখল। একইসঙ্গে সীমিত ওভারের কোনো সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করার গৌরব অর্জন করে পাকিস্তান। এ কারণে উইনিং কম্বিনেশন ঠিক রেখেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলছে টিম পাকিস্তান।
বুধবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ১০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়লেও তৃতীয় উইকেটে আসিফ আলি ও মোহাম্মদ হাফিজের ৬৭ রানের জুটি তা সামলে নেন। হাফিজ ৩৬ বলে ৪৫ আর আসিফ করেন ২১ বলে ২৪ রান। অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক এদিন ব্যর্থ হলেও পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ বলে ৩৪ রান।
১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ৬ ওভারে ৫০ রান নিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেন। দুর্দান্ত গতিতে ছুটে চলা মানরো ফেরান লেগ স্পিনার শাদাব খান। ৬ চার ও ৩ ছক্কার সাহায্যে মানরোর ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
মানরো ফেরার পর চাপে পড়ে কিউইরা। খেলার ২০ তম ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৭ রানের। সাউদি আর টেলর প্রায় কাছাকাছি চলেও গিয়েছিলেন। জিততে শেষ বলে দরকার ছিল ৭ রান। কিন্তু অভিজ্ঞ রস টেলর সেই বলে মারলেন বাউন্ডারি। তাই ২৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারলেন না। তাই পাকিস্তান ২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
ব্যাট হাতে ৪৫ আর বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের রান আটকে দেয়া ৩ ওভারে ১৩ রানের জন্য ম্যাচে সেরা হয়েছেন হাফিজ।
পরবর্তী দুই ম্যাচ দুবাইতে আগামী শুক্র ও রোববার অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলবে দু’দল।