টিউশনি করে নষ্ট না করতে হয় সেজন্য ‘অন ক্যাম্পাস জব’ চালুর কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। এছাড়াও ছাত্র ছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
শিক্ষার্থীরা যেন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আরও বেশি অবদান রাখতে পারে সেজন্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিস, আলাদা তহবিল গঠন ও আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ল্যাব গঠনের কথা জানিয়েছেন ড. মজুমদার।
বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের (ডিএসডব্লিউ) পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশন করে অর্থ উপার্জন করে। এতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়। তাই শিক্ষার্থীদের সময় বাঁচাতে এই পরিকল্পনা হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে কাজ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একটি কমিটি গঠন করেছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সরকারের যেসব প্রকল্পের সঙ্গে বুয়েটের শিক্ষকরা যুক্ত থাকেন সেসব প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে৷ এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে চাকরির সুযোগ তৈরি করা হবে৷
অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘দেশের সুনামধন্য বিভিন্ন শিল্প কারখানার সঙ্গে কথা বলে সেখানে শিক্ষার্থীদের ইন্টার্ন করার সুযোগ তৈরি করা হবে৷ কাজে ভালো করলে পরবর্তিতে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী পদে নিয়োগে সহযোগিতা করবে বিশ্ববিদ্যালয়৷ ডেটা এনালাইসিসসহ অনেকগুলো কাজে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে।’